উদ্যোক্তা উন্নয়ন সমবায় সমিতির বিষয়ে একটি খসড়া প্রসপেক্টাস তৈরী করেছি। সমবায় সমিতিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, অনাগ্রহী এবং সকল শুভাকাঙ্খীগণের থেকে এর সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং পরিমার্জন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত এবং পরামর্শ কামনা করছি।
আহবায়ক কমিটি গঠন এবং তাদের কাজঃ
— ৫/৭ জন সদস্য নিয়ে প্রাথমিক আহবায়ক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
— আহবায়ক কমিটিতে কেউ থাকতে চাইলে নিজের নাম মন্তব্যের ঘরে প্রস্তাব করতে পারেন।
— সমিতির নাম চুড়ান্তকরন।
— স্লোগান / মটো নির্ধারন।
— লগো ডিজাইন ও নির্ধারন।
— ডোমেইন, হোষ্টি এবং ওয়েবসাইট বানানো।
— সমিতির জন্যে একটি অনলাইন ডিসকাশন ফোরাম বানানো।
— ফেসবুক পেইজ / গ্রুপ ক্রিয়েট করা।
— নির্দিষ্ট ফোন / মোবাইল নং নেয়া।
— সমিতির বর্তমান কার্যালয় নির্ধারন।
প্রাথমিক পরিচালনা ব্যায় নিরূপন এবং উৎসায়নঃ
— সমিতির প্রারম্ভিক ব্যয় নিরূপনের জন্যে সকল সদস্যদের থেকে প্রথমেই ১০০০ টাকা করে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
— পরবর্তী পরিচালনা ব্যয় মাসিক চাঁদা হতে অথবা সমিতির আয়* হতে কর্তন করা হবে।
[*সমিতি যখন আয় যোগ্য হবে তখন] !
লিগাল ডকুমেন্টেশনঃ
— সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন।
— ট্রেডলাইসেন্স করানো।
— টিআইএন করানো।
— অন্যান্য
এডমিনিস্ট্রেটিভ ডকুমেন্টেশনঃ
— হিসাব রক্ষনাবেক্ষনের জন্যে রেজিঃ খাতাপত্র।
— বিল / ভাওচার (ক্রেডিট / ডেবিট)।
— ইনভয়েস।
— চালানপত্র।
— মানি রিসিট।
— সদস্য ফর্ম।
— শেয়ার সার্টিফিকেট।
সদস্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনঃ
—
—
—
কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনঃ
— সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।
————————————————————————————————–
সমিতির উদ্দেশ্যঃ
ক) ব্যক্তিগত সঞ্চয় বৃদ্ধি।
খ) সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি।
গ) মুনাফার সম্ভাবনা তৈরী।
ঘ) পারস্পারিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়ন।
ঙ) সামাজিক তথা দেশের অর্থনীতিতে নূন্যতম হলেও ভূমিকা রাখা।
কার্যক্রমঃ
ক) সদস্যদের বা অন্য কারো সম্ভাবনাময় উদ্যোগে অর্থায়ন করা।
খ) নিজেদের পরিচালনায় কোনো সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করা।
[উল্লেখ থাকে যে, এই সমিতির কার্যক্রম সম্পূর্ণ সুদ মুক্ত ভাবে পরিচালনা করা হবে। অর্থাৎ আমরা কাউকে সুদ দিবও না এবং কারো থেকে কোনো প্রকার সুদ নিবও না। মুনাফা বন্টনের মাধ্যেমে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।]
বিনিয়োগঃ
মোট সঞ্চয়ের ২০ % রিজার্ভ ফান্ড হিসেবে সংরক্ষণ।
মোট সঞ্চয়ের ৫০ % সম্ভাবনাময় প্রকল্পে বিনিয়োগ।
মোট সঞ্চয়ের ৩০ % সমিতির সরাসরি পরিচালনায় কোনো উদ্যোগে বিনিয়োগ।
[প্রথম ৬ মাস থেকে ১২ মাসের সঞ্চয় দিয়ে সমিতির প্রথম বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।]
পরিচালনা পদ্ধতিঃ
ক) বাংলাদেশ সরকারে সমবায় আইন ও বিধিমালা দ্বারা সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সমিতির কিছু বর্ধিত নিয়ম নীতির ভিত্তিতেও এই সমিতি পরিচালিত হবে। সকল আইন, বিধি বিধান এবং নিয়ম নীতি সম্পর্কে সকল সদস্যকে অবগত করা হবে।
খ) সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। এবং তারা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে সমিতি পরিচালনা করবে।
গ) সমিতির প্রাত্যহিক সাধারণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যায় প্রথমে সমিতির মোট সঞ্চয় থেকে নির্বাহ করা হবে। এবং পরবর্তীতে সমিতি মুনাফা করতে সক্ষম হলে মুনাফা থেকে চলতি খরচ বাদ দিয়ে নেট মুনাফার হিসাব করা হবে।
লেনদেনের স্বচ্ছতাঃ
ক) সকল সদস্যগণ এবং সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটি সকল প্রকার লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে, চাঁদা জমা দেয়া বা নেয়া এবং চাঁদা টাকা ফেরত দেয়া বা নেয়া অথবা মুনাফার টাকা দেয়া বা নেয়ার ক্ষেত্রে সমিতির নির্ধারিত একাউন্ট বরাবর অথবা সদস্যগনের ব্যক্তিগত একাউন্টে সরাসরি একাউন্টস পে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে।
খ) সমিতির কার্য নির্বাহি কমিটি কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা ক্ষেত্রেও লেনদেন চেকের মাধ্যেমে সম্পাদন করবেন এবং তার যথাযত আইনানুগ ডকুমেন্টস ও অভ্যন্তরীন হিসাব বই সংরক্ষণ করবেন।
গ) তবে, সমিতির কার্য নির্বাহী পরিষদ তাদের আভ্যন্তরীন প্রাত্যহিক সমিতি পরিচালনা ব্যায় বাবদ অর্থ ক্যাশে লেনদেন করতে পারবে। এবং তার যথাযথ বিল, ভাওচার এবং হিসাব বই রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে।
জবাবদিহিতাঃ
ক) সকল সদস্যগণের কাছে কার্য নির্বিহী পরিষদের তথা সমিতির কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতি ২ মাস অন্তর সমিতির কর্মকান্ড এবং পরিচালনার বিষয়ে সার সংক্ষেপ চিঠির মাধ্যমে সদস্যগণের নিকট প্রেরণ করা হবে।
খ) সমিতির ওয়েব সাইটের মাধ্যমে নিয়মিত তথ্য উপাত্ত সরবারহ করা হবে।
গ) কোনো সদস্যের বিশেষ কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে নির্ধারিত নিয়মে আবেদন করলে ১৫ দিনের মধ্যে তার জবাব দেবার ব্যবস্থা ও বাধ্যবাদকতা থাকবে।
ঘ) প্রতি ৬ মাসে একবার বিশেষ সভা এবং প্রতি বছরে একবার সাধারণ সভার আয়োজন করা হবে। যার মাধ্যমে সদস্যগণ সরাসরি সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে এবং নিজেদের মতামত দিতে পারবেন।
ঙ) সমিতির কার্যক্রম বা পরিচালনা সংক্রান্ত কোনো সু নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা নির্ধারিত ই-মেইল ঠিকানায় বা চিঠির মাধ্যমে কমিটিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অবগত করা যাবে।
অংশগ্রহণের নিয়মঃ
ক) ১৮ বছর এর উপরে যে কেউ সমিতির সদস্য হতে পারবেন।
খ) নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে সাথে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি / জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি / পাসপোর্টের ফটোকপি এবং ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ জমা দিতে হবে।
গ) একজন নিমিনি নির্বাচন করে তার এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি (ছবির পিছনে সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হবে) এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি / জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি / পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
ঘ) নির্দিষ্ট সময় পরে (নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে) প্রত্যেক সদস্যকে “সদস্য অন্তর্ভূক্তি কার্ড” সংগ্রহ করতে হবে। এতে, তার নাম, ছবি, ঠিকানা, ফোন নং, সদস্য নং, চাঁদার হার, অংশগ্রহণের তারিখ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকবে।
মাসিক চাঁদার পরিমানঃ
ক) প্রতিটি শেয়ার (মাসিক চাঁদা) মূল্যমান নির্ধারণ করা হয়েছে =৫০০/- পাঁচশত টাকা।
খ) কোনো সদস্য চাইলে একের অধিক শেয়ার অধিগ্রহণ করতে পারবে। তবে তা কোনো অবস্থাতেই এক নামে ১০ টির বেশি হতে পারবে না।
গ) কোনো সদস্য চাইলে তার পরিবার পরিজন বা বন্ধু বান্ধবের নামে একক বা একের অধিক শেয়ার অধিগ্রহণ করতে পারবে তবে শর্ত থাকে যে, তা কোনো অবস্থাতেই এক নামে ১০ টির বেশি হতে পারবে না।
চাঁদা সংক্রান্ত শর্তঃ
ক) প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সমিতির নির্ধারিত ব্যাংক একউন্টে টাকা জমা দিতে হবে।
খ) টাকা জমা দিয়ে সমিতির ওয়েব সাইটের নির্ধারিত ফর্মে ব্যাংক ডিটেইলস পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। এবং একটি ফিরতি মেইল পাওয়া যাবে তা যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
গ) ওয়েব সাইটে তথ্য সাবমিশনের ১৫ দিনের মধ্যে মানি রিসিট সদস্যের ঠিকানায় রেজিঃ ডাক যোগে প্রেরণ করা হবে।
ঘ) নির্ধারিত সময়ে টাকা জমা না দিলে পরবর্তীতে ২০ তারিখের মধ্যে বিলম্ব ফি সহ টাকা জমা দিতে হবে। বিলম্ব ফিঃ শেয়ার প্রতি ১০০ টাকা। অর্থাৎ কারো একটি শেয়ার থাকলে বিলম্ব ফি হবে ১০০ টাকা আর পাঁচটি শেয়ার থাকলে ৫০০ টাকা।
ঙ) পরপর ২/৩ মাস নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ না করলে তার হিসাবটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হবে। পুনরায় চালু করতে চাইলে নির্ধারিত বিলম্ব ফি সহ চাঁদা জমাদান পূর্বক রসিদ এবং দরখাস্ত সহ আবেদন করতে হবে।
চ) তিন মাস চাঁদা প্রদান না করলে এবং উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে আপোষ না করলে সদস্যের হিসাবটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
ছ) এবং বন্ধ হিসাব থেকে ৪০% সঞ্চয় কর্তন পূর্বক বাকি ৬০% সঞ্চয় পরবর্তী ৩-৫ মাসের মধ্যে উক্ত সদস্যের ঠিকানায় হিসাব নিস্পত্তির ডকুমেন্ট সহ চেক পাঠিয়ে দেয়া হবে।
জ) এই নীতি মালার বাইরে কোনো প্রকার উজর আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরো কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং উত্তর।
১. কতদিন চাঁদা দিতে হবে?
উত্তরঃ নূন্যতম তিন বছর নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।
২. কতদিন চাঁদা দেওয়ার পর টাকা ফেরত নিলে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ২য় বছরে চাঁদার টাকা ফেরত নিলে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে।
৩. আমাদের চাঁদার টাকা ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি কি?
উত্তরঃ সমিতির সকল কার্যক্রম বাংলাদেশ সরকারের সমবায় আইন এবং নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হবে এবং সকল ধরনের লিগ্যাল ডকুমেন্ট থাকবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে যেন একজন সদস্য চাহিবা মাত্র তথ্য উপাত্ত পেতে পারেন।
৪. সমিতি লোকসানে পড়লে কি করা হবে?
উত্তরঃ সদস্যগণকে অবশ্যই নির্ধারিত শেয়ার / চাঁদা / অংশ অনুযায়ী লাভ – লোকসান শেয়ার করতে হবে।
৫. সমিতির টাকা কি সমিতি নিজেই বিনিয়োগ করবে নাকি সমিতির সদস্য বা সমিতির সদস্যদের বাইরে বিনিয়োগ করা হবে?
উত্তরঃ সমিতির সঞ্চয়ের টাকা ২ ভাবে বিনিয়োগ করা হবে। প্রথমত, সদস্যদের মধ্যে কারো কোনো লাভজনক ব্যবসা থাকলে সেখানে বিনিয়োগ করা হবে। আর দিত্বীয়ত, সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্য কোনো লাভজনক ব্যবসায়। যা, প্রয়োজনে সমিতি নিজেই পরিচালনা করতে পারে।
৬. লভ্যাংশ কোন প্রক্রিয়ায় প্রদান করা হবে?
উত্তরঃ বাৎসরিক হিসাব নিস্পত্তির ভিত্তিতে লাভ – লোকসান ঘোষনা এবং বন্টন করা হবে।
৭. সমিতির সফলতার মুখ দেখলে (বড় কোন প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হলে) তখন সকলের সমান অধিকার থাকবে কি না?
উত্তরঃ প্রচলিত আইন ও সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সবাই সবার শেয়ার অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা এবং অধিকার ভোগ করবে।
৮. সমিতির মধ্য কেউ দূর্নীতি বা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে?
উত্তরঃ দূর্নীতির অভিযোগ আসলে বা প্রমান হলে তাকে অপসারনের ব্যবস্থা এবং জরিমানা রাখা যেতে পারে।
৯. কোন সদস্যর মৃত্যু হলে তার বেলায় কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ?
উত্তরঃ সাধারন সদস্যের ক্ষেত্রে নিমিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবে। আর কার্য নির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে হলে নমিনি তার শেয়ার অনুযায়ী সভ্য হিসাবে স্থলাভিষিক্ত হবে এবং কমিটির সদস্য’র জন্যে নতুন করে ভোট গ্রহন করে নির্বাচন করা হবে।
১০. একবছর টাকা জমা দেয়ার পরে যদি কেউ সমিতি হতে চলে যেতে চায়?
উত্তরঃ একবছর পর যে কেউ চাইলে সমিতি থেকে তার সঞ্চয় উঠিয়ে নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে শেয়ার অনুযায়ী পরিচালনা ব্যয় কর্তন পূর্বক তার বাদ বাকি সমূদয় পাওনা পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে নিস্পত্তি করা হবে।
————————————————————————————————–
সমবায় সমিতি আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা-
৩. সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে কোম্পানী আইনের প্রয়োগ নিষিদ্ধ। – কোন সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪সনের ১৮নং আইন) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
৮. সমবায় সমিতির শ্রেণী বিন্যাস।- (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নিবন্ধনযোগ্য সমবায় সমিতি সমুহ হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
(ক) প্রাথমিক সমবায় সমিতি, অর্থাৎ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য সংখ্যা হইতছে ন্যুনতম ২০(কুড়ি) জন একক ব্যক্তি (individual) এবং যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে বৈধ উপায়ে সমিতির সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন :
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ সমিতি উহার সদস্যদের জমি বন্ধক নিয়া ঋণ প্রদানের জন্য গঠিত হইলে উহা জমি বন্ধকী ব্যাংক নামেও অভিহিত হইবে;
(খ) কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি, অর্থাৎ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য হইতেছে একইরূপ অন্তত ১০(দশ)টি প্রাথমিক সমবায় সমিতি এবং যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে উক্ত সদস্য সমিতিগুলির কাজ- কর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহায়তা প্রদান এবং সমন্বয় সাধন :
তবে শর্ত থাকে যে, জমি বন্ধকী ব্যাংক নামক প্রাথমিক সমবায় সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংক নামেও অভিহিত হইবে ;
(গ) জাতীয় সমবায় সমিতি, অর্থাৎ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য হইতেছে একই উদ্দেশ্য সম্বলিত অন্তত: ১০(দশ)টি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি, এবং যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে সারা দেশব্যাপী উক্ত সদস্য সমিতিগুলির কাজ-কর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহায়তা প্রদান এবং সমন্বয় সাধন।
ব্যাখ্যাঃ- সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একই উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় সমবায় সমিতি নিবন্ধন করা যাইবে ;
(ঘ) জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন, অর্থাৎ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য হইতেছে কেন্দ্রীয় ও জাতীয় সমবায় সমিতি।
(২) এই আইন প্রবর্তনের পুর্বে নিবন্ধিত কোন সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে উপধারা (১) এর দফা (ক), (খ),(গ) বা (ঘ) এর ব্যত্যয় ঘটিয়া থাকিলে উক্ত সমিতির নিবন্ধন এই ধারা বলে ক্ষুনড়ব হইবেনা, তবে এই আইন প্রবর্তনের পর উক্ত উপধারার বিধান ক্ষুনড়ব করিয়া কোন সমবায় সমিতিতে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যাইবেনা।
৯. নিবন্ধন ব্যতীত ‘সমবায়’ শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ।
(১) এই আইন অনুযায়ী সমবায় সমিতি হিসাবে নিবন্ধিত বা অনুমোদিত না হইলে কোন ব্যক্তি, ব্যক্তিসংঘ, সংগঠন বা সমিতি উহার নামের অংশ হিসাবে সমবায় বা ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরাব শব্দটি ব্যবহার করিবেন না।
(২) কোন ব্যক্তি উপধারা(১) এর বিধান লংঘন করিলে অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থ দন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
১৫৷ (১) এই আইনের অধীনে নিবন্ধনযোগ্য প্রত্যেকটি সমবায় সমিতির শেয়ার মূলধন থাকিবে যাহা সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির উপ-আইনে নির্ধারিত মূল্যমানের এবং নির্ধারিত সংখ্যক শেয়ারে বিভক্ত থাকিবে৷
(২) সমবায় সমিতির প্রত্যেক সদস্য অন্ততঃ একটি শেয়ার ক্রয় করিয়া উক্ত শেয়ারের নামিক মূল্য (face value) অবিলম্বে পরিশোধ করিবেন অন্যথায় তিনি সদস্য হইতে পারিবেন না:
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) কোন ব্যক্তি কোন সমবায় সমিতির মোট শেয়ার মূলধনের এক-পঞ্চমাংশের অধিক শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবেন না;
(খ) সরকার কোন সমবায় সমিতির সদস্য হইলে উহার ক্ষেত্রে দফা (ক) এর বিধান প্রযোজ্য হইবেনা৷
(৩) কোন সমবায় সমিতির শেয়ার সমিতির নিকট ফেরত্যোগ্য হইবে না বা সমিতি উক্ত শেয়ার ক্রয় বা উহার পরিবর্তে অর্থ বা অন্য কোন সম্পদ উক্ত সদস্যকে পরিশোধ করিতে পারিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমবায় সমিতির সদস্য পদ যদি উহার উপ-আইন অনুসারে কোন সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কোন শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেতনভোগী কর্মচারী বা শ্রমিকদের মধ্যে সীমিত রাখা বাধ্যতামূলক হয়, তাহা হইলে উক্ত সদস্যগণের ধারণকৃত শেয়ারের ক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না৷
(৪) কোন সদস্য তাহার শেয়ার সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির পূর্বসম্মতিক্রমে উপ-আইন অনুসারে হস্তান্তর করিতে পারিবে৷
(৫) সমবায় সমিতির অবসায়নের সময় উহার দায়-দায়িত্ব পরিশোধের ক্ষেত্রে সমিতির পরিসম্পদে ঘাটতি থাকিলে উহা পরিশোধের জন্য সদস্যগণ তাহাদের নিজ নিজ শেয়ারের অনুপাতে দায়ী থাকিবেন৷
১৬৷(১) এই আইন, বিধি এবং উপ-আইনের শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যেক সমবায় সমিতির চূড়ান্ত কর্তৃত্ব উহার সাধারণ সভার উপর বর্তাইবে৷
(২) সাধারণ সভা আহ্বান এবং ইহার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি ও উপ-আইন অনুসরণ করিতে হইবে৷
১৮৷ (১) প্রত্যেক সমবায় সমিতির যাবতীয় ক্ষমতা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই আইন, বিধি ও উপ-আইন মোতাবেক গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সাধারণ সভায় সম্পাদনযোগ্য কার্য ব্যতীত সমিতির সকল কার্য উক্ত কমিটি সম্পাদন করিবে৷
(২) উপ-আইনে নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হইবে, এবং তাঁহারা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ সভায় নির্বাচিত হইবেন:
তবে শর্ত থাকে যে,
(ক) নিবন্ধনের সময় নিবন্ধক তত্কর্তৃক অনুমোদিত উপ-আইন অনুসারে প্রথম ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করিবেন;
(খ) যেই সকল সমবায় সমিতির পরিশোধিত শেয়ার মূলধনের ৫০% এর অধিক সরকারের মালিকানায় আছে বা যেই সকল সমবায় সমিতির মোট ঋণের বা অগ্রিমের ৫০% এর অধিক সরকার প্রদান করিয়াছে বা উক্ত সমিতির গৃহীত ঋণের ব্যাপারে সরকারের গ্যারান্টি রহিয়াছে, সেই সকলক্ষেত্রে ১[ নিবন্ধক প্রাথমিক সমবায় সমিতি ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির এবং সরকার জাতীয় সমবায় সমিতির] ব্যবস্থাপনা কমিটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্য মনোনয়ন করিবেন৷
(৩) কোন সমবায় সমিতি নিবন্ধন কালে নিবন্ধক কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রথম ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ হইবে এক বতসর৷ এই মেয়াদের মধ্যে নিয়োগকৃত ব্যবস্থাপনা কমিটি সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া নিয়মিত কমিটি গঠন করিবে৷
২০. (৪) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি উহার প্রথম অনুষ্ঠিত সভার তারিখ হইতে তিন বতসর মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করিবে এবং উক্ত কমিটি উহার মেয়াদ পূর্তির পূর্বে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করিবে৷
(৫) উপ-ধারা (৩) ও (৪) এ বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমিতির সদস্য বা সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯০(নব্বই) দিনের জন্য একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বিলুপ্তকৃত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷
(৬) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া উপ-ধারা (৫) এ বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্বভার হস্তান্তর করিবে৷
(৭) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ধারা (৬) এ বর্ণিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক উপ-ধারা (৫) ও (৬) এ উল্লিখিত শর্ত ও সময়ের জন্য পুনরায় একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বিলুপ্তকৃত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ পরবর্তী কোন অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷
(৮) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসাবে একাদিক্রমে দু’টি মেয়াদ পূর্ণ করিয়ানে এমন কোন সদস্য উক্ত মেয়াদের অব্যবহিত পরবর্তী একটি মেয়াদের নির্বাচনে প্রার্থী হইবার যোগ্য হইবেন না৷]
১৯. ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা।-
(১) প্রাথমিক সমবায় সমিতির কোন সদস্য ঐ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার বা সদস্য পদে বহাল থাকিবার যোগ্য হইবেন না যদি নিম্নবর্ণিত যে কোন অবস্থা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় অর্থাৎ যদি তিনি
(ক) ২১ বৎসর বয়স্ক না হন ;
(খ) (সংশোধিত, ২০০২) বাতিল
(গ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ পর্যন্ত অব্যাহভাবে অন্তত ১২ মাস ব্যাপী সমিতির সদস্য হিসাবে বহাল না থাকেন;
(ঘ) কোন ফৌজদারী অপরাধের কারণে দোষী সাব্যস্ত হইয়া দুই বৎসর বা ততোধিক মেয়াদের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হইয়া থাকেন এবং কারাভোগের পর পাঁচ বৎসর সময় অতিবাহিত না হয়;
(ঙ) কোন সমবায় সমিতি বা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ, অগ্রিম, গৃহীত পণ্যের মুল্য বা অন্য যে কোন পাওনা বা পাওনার কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হন;
(চ) ব্যবস্থাপনা কমিটির বা কোন সদস্যের অধীনে বা সমিতির অধীনে বেতনভোগী কর্মচারী হন বা সমিতির আওতাধীন কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন;
তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র শ্রমিক বা কারিগর সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতি শুধুমাত্র ড্রাইভার, হেলাপার বা কন্ডাক্টর সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতি বা কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সমন্বয়ে গঠিত কর্মচারী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই দফা প্রযোজ্য হইবে না ;
(ছ) সমিতির কোন কাজের জন্য ঠিকাদার হন বা লাভজনকভাবে সমিতিকে কোন সামগ্রী সরবরাহ করেন;
(জ) যথাপোযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হন।
(২) কোন ব্যক্তি কোন কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইবার বা উক্ত পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য হইবেন, যদি-
(ক) উপধারা (১) উলি−খিত পরিস্থিতি তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় ;
(খ) তিনি উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ববর্তী তিন বৎসর যাবৎ অব্যাহতভাবে সংশি−ষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতির সদস্য না থাকেন এবং এই তিন বৎসরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত না থাকেন ; অথবা,
(গ) তিনি সংশি−ষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতি বা, ক্ষেত্রমত, কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমবায় সমিতির পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে উক্ত সমিতি কর্তৃক খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হন; অথবা,
(ঘ) তিনি যে সমিতির প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেই সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হন।
(৩) কোন সমিতিতে সরকারের শেয়ার থাকিলে এবং উহার ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সদস্য হিসাবে সরকার কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে তাহার ক্ষেত্রে উপধারা (১) বা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবেনা।
২৪৷ প্রত্যেক সমবায় সমিতি নিম্নবর্ণিত রেজিষ্টার ও বহিসমূহ হালনাগাদপূর্বক সংরক্ষণ করিবে:-
(ক) সদস্য রেজিষ্টার;
(খ) শেয়ার রেজিষ্টার;
(গ) ডিপোজিট রেজিষ্টার, যদি প্রযোজ্য হয়;
(ঘ) লোন রেজিষ্টার, যদি প্রযোজ্য হয়;
(ঙ) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত রেজিষ্টার;
(চ) ক্যাশ বহি/রেজিষ্টার;
(ছ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা নিবন্ধক কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য বহি ও রেজিষ্টার৷
২৬৷ (১) সমিতি উহার সদস্য নহে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে আমানত বা ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে, তবে এই আমানত বা ঋণের ঊর্ধ্বসীমা সাধারণ সভার অনুমোদন অনুসারে হইবে৷
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন সমবায় সমিতি কর্তৃক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
(ক) উহার সদস্য নহে এমন কোন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করা যাইবেনা;
(খ) উহার সদস্যগণকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে উপ-আইনে ও বিধিতে বর্ণিত সীমা এবং পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
(৩) কোন কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতি উহার সদস্যগণকে ঋণ প্রদান ও আমানত গ্রহণের জন্য গঠিত হইয়া থাকিলে উহা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতেও আমানত গ্রহণ করিতে এবং এইরূপ আমানতের অনধিক ৭৫% ঋণ আমানতকারীকে প্রদান করিতে পারিবে৷
(৪) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
(ক) ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্য হিসাবে যেই ঋণ পাইবার অধিকারী উহার অতিরিক্ত কোন ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবেন না;
(খ) ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য ঋণ পাইবার যোগ্য হইবেন না৷
৩৩৷ সমবায় সমিতি উহার তহবিল নিম্নবর্ণিতভাবে বিনিয়োগ বা জমা রাখিতে পারিবে:
(ক) কোন তফসিলী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত হিসাবে, বা সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত সঞ্চয় পত্র বা অন্য কোন সিকিউরিটি আকারে;
(খ) সমিতির কাজ-কর্ম পরিচালনা বা ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় নহে এরূপ উদ্বৃত্ত থাকিলে উহার অনধিক ১০% অর্থ কোন কোম্পানীর শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা অন্য কোন সিকিউরিটিতে;
(গ) উক্ত সমিতি অন্য কোন সমবায় সমিতির সদস্য হইলে এবং দ্বিতীয়োক্ত সমিতির আমানত গ্রহণের ক্ষমতা থাকিলে, উহার নিকট আমানত আকারে৷
৩৪৷ (১) প্রত্যেক সমবায় সমিতি প্রতি সমবায় বর্ষে উহার ৯[ নীট] মুনাফা বা সুদ হইতে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের অর্থ সংরক্ষণ ও নিষ্পত্তি করিবে:-
(ক) সংরক্ষিত তহবিল, ন্যুনতম ১৫%;
(খ) অর্থায়নকারী সমবায় সমিতি বা জমি বন্ধকী ব্যাংকের ক্ষেত্রে, তত্কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ বা কুঋণ বা সন্দিগ্ধ ঋণ সংক্রান্ত দায়-দায়িত্ব মিটানো বা ব্যয় নির্বাহের জন্য কুঋণ বা সন্দিগ্ধ ঋণ তহবিল বাবদ১০%;
১০। (গ) সমবায় উন্নয়ন তহবিলের চাঁদা ৩%:
তবে এই ৩% এর মধ্যে ১% সমবায় সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সমবায় প্রশিক্ষণ একাডেমীসমূহের জন্য নির্দিষ্ট থাকিবে;]
(ঘ) উপ-আইনে উল্লেখিত অন্যান্য উদ্দেশ্যে সর্বাধিক ১০%;
(ঙ) অবশিষ্ট মুনাফা বা সুদ লভ্যাংশ আকারে সদস্যদের মাঝে বণ্টন৷
(২) সংরক্ষিত তহবিলের সর্বাধিক ৫০% সমিতির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
(৩) সংরক্ষিত তহবিল এবং কুঋণ বা সন্দিগ্ধ ঋণ তহবিল নিম্নবর্ণিতভাবে বিনিয়োগ বা জমা রাখিতেহইবে:-
(ক) সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত সঞ্চয় পত্র বা অনুরূপ কোন সিকিউরিটিতে;
(খ) যে কোন তফসিলী ব্যাংকে আমানত হিসাবে৷
(৪) উপ-ধারা (১)(ঙ) তে উল্লেখিত মুনাফা বণ্টনের পূর্বে উক্ত মুনাফার ৫০% পূর্বের ক্ষতি (যদি থাকে) বাবদ সমন্বয় করিতে হইবে৷
তথ্য সুত্রঃ ফেইসবুক
———————————